যস্মিন্দ্যৌঃ পৃথিবী চান্তরিক্ষমোতং
মনঃ সহ প্রাণৈশ্চ সর্বৈঃ।
তমেবৈকং জানথ আত্মানমন্যা
বাচো বিমুঞ্চথামৃতস্যৈষ সেতুঃ॥৫
অন্বয়: যস্মিন্ (যে অক্ষরে); দ্যৌঃ (দ্যুলোক); পৃথিবী (পৃথিবী); চ (এবং); অন্তরিক্ষম্ (পৃথিবী ও দ্যুলোকের অন্তর্বর্তী স্থান); সর্বৈঃ প্রাণৈঃ সহ মনঃ চ (মন ও ইন্দ্রিয়সকল); ওতম্ (সমর্পিত); তম্ (সেই); একম্ (অদ্বিতীয়); আত্মানম্ এব (আত্মাকেই); জানথ (জান); অন্যাঃ বাচঃ (অন্য সব কথা); বিমুঞ্চথ (পরিত্যাগ কর); এষঃ (এই আত্মজ্ঞান); অমৃতস্য (অমৃতের অর্থাৎ নিত্যকে লাভ করার); সেতুঃ (উপায়, সেতু)।
সরলার্থ: স্বর্গ, মর্ত, অন্তরীক্ষ, ইন্দ্রিয় ও প্রাণসহ মন, সবই এই পরমাত্মায় প্রতিষ্ঠিত। এই এক ও অভিন্ন আত্মাকে জানেনা। আত্মজ্ঞানই অমরত্বের পথে সেতুস্বরূপ। অন্য অসার আলোচনায় সময় অপচয় করো না।
ব্যাখ্যা: ‘অন্যাঃ বাচঃ বিমুঞ্চথ’—অসার আলাপ-আলোচনা বন্ধ কর, অন্য সব কথা ভুলে যাও। তুমি এবং ব্রহ্ম এক ও অভিন্ন—এই উপনিষদের মূল সুর। এই তত্ত্বটিতে মন একাগ্র কর, আর অন্য সব বিষয় ভুলে যাও। অন্য সব কিছু অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয়। ‘এষঃ অমৃতস্য সেতুঃ’—এটিই অমৃতের সেতু, অমৃতের পথ। ব্রহ্মজ্ঞানই সেই সেতু যা মানুষকে মৃত্যুর পারে অমৃতলোকে নিয়ে যায়। অমরত্ব লাভের আর অন্য কোন উপায় নেই।