ন তত্র সূর্যো ভাতি ন চন্দ্রতারকং
নেমা বিদ্যুতো ভান্তি কুতোঽয়মগ্নিঃ।
তমেব ভান্তমনুভাতি সর্বং
তস্য ভাসা সর্বমিদং বিভাতি॥১০
অন্বয়: তত্র (সেই ব্রহ্মে); সূর্যঃ (সূর্য); ন ভাতি (দীপ্তি পায় না); ন চন্দ্রতারকম্ (চন্দ্রতারাও না); ইমাঃ বিদ্যুতঃ (এই বিদ্যুৎ); ন ভান্তি (দীপ্তি পায় না); অয়ম্ অগ্নিঃ কুতঃ (এই অগ্নি কি করে প্রকাশ পাবে); তম্ এব ভান্তম্ (তিনি দীপ্যমান হলে); সর্বম্ (সব কিছু); অনুভাতি (তাঁর আলোতেই প্রকাশিত হয়); তস্য ভাসা (তাঁর জ্যোতিতেই); সর্বমিদম্ (এই সব কিছু); বিভাতি (জ্যোতির্ময়)।
সরলার্থ: ব্রহ্মের উপস্থিতিতে সূর্য, চন্দ্র, তারা কেউই কিরণ দান করে না। এমন-কি বিদ্যুৎও তার উজ্জ্বলতা হারায়। এমন অবস্থায় অগ্নি কি করে দীপ্তি পাবে? ব্রহ্মের জ্যোতিতেই এই সব কিছু জ্যোতির্ময়। ব্রহ্মের আলোকেই সব আলোকিত।
ব্যাখ্যা: সূর্যকিরণ সব বস্তুকে প্রকাশ করে, ব্রহ্মকে প্রকাশ করতে পারে না। চন্দ্র, তারা ও অন্যান্য উজ্জ্বল বস্তু সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। এই সব বস্তুর মধ্যে কোনটিরই নিজস্ব জ্যোতি নেই। এরা ব্রহ্মের জ্যোতিতেই জ্যোতিষ্মান। একমাত্র ব্রহ্মই স্বয়ং-প্রকাশ। দীপের আলোর মতো ব্রহ্মও নিজেকে নিজেই প্রকাশ করেন। ব্রহ্ম সব কিছুর উৎস। ব্রহ্ম আছেন, তাই অন্যান্য বস্তুরও অস্তিত্ব আছে। ব্রহ্মকে বাদ দিয়ে কোন কিছুরই অস্তিত্ব সম্ভব নয়। সেই ব্রহ্মের অধিষ্ঠান আমাদের হৃদয়ে। অর্থাৎ আমিই সেই ব্রহ্ম।