এহ্যেহীতি তমাহুতয়ঃ সুবর্চসঃ
সূর্যস্য রশ্মিভির্যজমানং বহন্তি।
প্রিয়াং বাচমভিবদন্ত্যোঽর্চয়ন্ত্য
এষ বঃ পুণ্যঃ সুকৃতো ব্রহ্মলোকঃ॥৬
অন্বয়: এহি এহি ইতি (এস এস এইরূপে); সুবৰ্চসঃ আহুতয়ঃ (দীপ্যমান আহুতি-সমূহ); তম্ (সেই); যজমানম্ (যজমানকে); সূর্যস্য (সূর্যের); রশ্মিভিঃ (কিরণ পথে); বহন্তি (বহন করে নিয়ে যায়); প্রিয়াং বাচম্ (স্তুতিবাক্য); অভিবদন্ত্যঃ (উচ্চারণ করতে করতে); অৰ্চয়ন্ত্যঃ (অর্চনা করতে করতে); এষঃ (এই); বঃ (তোমাদের); পুণ্যঃ (পুণ্য); সুকৃতঃ (সুকর্মের ফলস্বরূপ); ব্রহ্মলোকঃ (ব্রহ্মলোক অর্থাৎ স্বর্গলোক)।
সরলার্থ: ‘স্বাগত, স্বাগত। নিজ সুকৃতির দ্বারা তুমি পবিত্র স্বর্গলোক অর্জন করেছ’—এই সুবচনে অভিনন্দিত করে জ্বলন্ত আহুতিসমূহ যজমানকে সসম্মানে সূর্যের কিরণপথে (স্বর্গলোকে) নিয়ে যায়।
ব্যাখ্যা: যজ্ঞাগ্নির শিখাসমূহকে যদি ভালভাবে সেবা করা যায়, তাদের উদ্দেশে আহুতি দেওয়া যায়, তবে তারা যজমানের প্রতি অত্যন্ত প্রসন্ন হয়। যজমানের মৃত্যুর সময় এই সব আহুতি সূর্যরশ্মিতে পরিণত হয় এবং তাঁকে স্বর্গে নিয়ে যায়। ঘরে অতিথি এলে যেভাবে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়, সেইভাবে মধুর বচনে আপ্যায়ন করতে করতে সূর্যরশ্মি যজমানকে স্বর্গে নিয়ে যায়।