তদেতৎসত্যমৃষিরঙ্গিরাঃ পুরোবাচ নৈতদচীর্ণব্রতোঽধীতে।
নমঃ পরমঋষিভ্যো নমঃ পরমঋষিভ্যঃ॥১১
অন্বয়: পুরা (প্রাচীন কালে); ঋষিঃ অঙ্গিরাঃ (অঙ্গিরা নামক ঋষি); তৎ এতৎ সত্যম্ উবাচ (সেই সত্যকে বলেছিলেন [তাঁর শিষ্য শৌনককে]); অচীর্ণব্রতঃ (যিনি ব্রত আচরণ করেননি); এতৎ ন অধীতে (তিনি এই [উপনিষদ] পাঠ করেন না); পরমঋষিভ্যঃ (ব্রহ্মবিদ্ ঋষিগণকে); নমঃ (নমস্কার); পরমঋষিভ্যঃ (ব্রহ্মবিদ্ ঋষিগণকে); নমঃ (নমস্কার)।
সরলার্থ: পুরাকালে ঋষি অঙ্গিরা শৌনককে পরম সত্যের অর্থাৎ এই ব্রহ্মতত্ত্বের শিক্ষা দান করেছিলেন। যে সব মানুষ যাগযজ্ঞ করেন না, তাঁরা উপনিষদও পাঠ করেন না। যাঁরা এই জ্ঞান দান করেন সেই পরম ঋষিদের বারবার নমস্কার করি।
ব্যাখ্যা: ঋষি অঙ্গিরা শিষ্য শৌনককে এই উপনিষদ শিক্ষা দিয়েছিলেন। শৌনক যথাবিধি গুরুর কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল শর্ত তিনি পালন করেছিলেন। এই জ্ঞান গুরু থেকে শিষ্যে, এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মে ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে। এই ধারাকেই বলে পরম্পরা। এই জ্ঞানলাভের শর্তগুলি সবসময়েই এক। জ্ঞানের মধ্যে ব্রহ্মজ্ঞানই শ্রেষ্ঠ যদিও এই জ্ঞান অর্জন করা কঠিন, কিন্তু এই জ্ঞানই সর্বোচ্চ। গুরু কোন অযোগ্য শিষ্যকে এই জ্ঞান দান করতে পারেন কিন্তু এই জ্ঞান তার কোন কাজে লাগে না। কিন্তু যখন সৎ গুরু যোগ্য শিষ্যকে এই শিক্ষা দান করেন তখন সেই শিক্ষাদান সার্থক হয়।
যে সব আচার্য এই ব্রহ্মবিদ্যা দান করেন তাঁরা অতি উচ্চকোটির সাধক। সেই পরম ঋষিদের বারবার নমস্কার করি।
মুণ্ডক উপনিষদের তৃতীয় মুণ্ডকের দ্বিতীয় অধ্যায় এইখানে সমাপ্ত।