যদৰ্চিমদ্যদণুভ্যোঽণু চ
যস্মিঁল্লোকা নিহিতা লোকিনশ্চ।
তদেতদক্ষরং ব্ৰহ্ম স প্রাণস্তদু বাঙ্মনঃ
তদেতৎসত্যং তদমৃতং তদ্বেদ্ধব্যং সোম্য বিদ্ধি॥২
অন্বয়: যৎ (যিনি); অৰ্চিমৎ (জ্যোতির্ময়); যৎ (যিনি); অণুভ্যঃ অণু (সূক্ষ্ম থেকেও সূক্ষ্মতর); চ (এবং); যস্মিন্ (যাঁতে); লোকাঃ (লোকসমূহ); চ (এবং); লোকিনঃ (বিভিন্ন লোকবাসিগণ); নিহিতাঃ (নিহিত রয়েছে); তৎ এতৎ অক্ষরং ব্রহ্ম (এই সেই অক্ষর.ব্রহ্ম); সঃ (তিনি); প্রাণঃ (প্রাণ [প্রাণবায়ু]); তৎ উ (তিনিই); বা মনঃ (বাক্য এবং মন); তৎ এতৎ সত্যম্ (তিনিই সত্য); তৎ অমৃতম্ (তিনি অবিনাশী); সোম্য (হে সৌম্য); তৎ (তিনি); বেদ্ধব্যম্ (তাঁকে ভেদ করতে হবে অর্থাৎ তিনি মূল লক্ষ্যস্থল); বিদ্ধি (তাঁকে ভেদ কর অর্থাৎ জান)।
সরলার্থ: তিনি জ্যোতির্ময় এবং সূক্ষ্ম থেকেও সূক্ষ্মতর। সেই অক্ষর ব্রহ্ম বিভিন্ন লোকসমূহ এবং ঐসব লোকের অধিবাসীদেরও আশ্রয়। তিনিই প্রাণ। বাক্য এবং মনও তিনি। সেই ব্রহ্মই সত্য, তিনিই নিত্য। তাঁকে ভেদ করতে হবে অর্থাৎ তাঁকে স্বরূপত জানতে হবে।
ব্যাখ্যা: ব্রহ্ম এই জগতের আশ্রয়। দেহ, মন এবং অন্যান্য ইন্দ্রিয় ব্রহ্মেই আশ্রিত। ব্রহ্মকে বাদ দিয়ে কোন কিছুর অস্তিত্ব সম্ভব নয়। শুধু জড় বস্তুই নয়, নৈতিক আদর্শের ক্ষেত্রেও একথা সমভাবে প্রযোজ্য। যেমন, সত্যও ব্রহ্মকে আশ্রয় করে আছে। ব্রহ্ম নিত্য এবং সকল বস্তুর উৎস। সবকিছু ব্ৰহ্ম থেকে এসেছে, ব্রহ্মই সকল বস্তুর অধিষ্ঠান আবার অন্তে সব ব্রহ্মেই লয় পাবে।
এই ব্রহ্মকে স্বরূপত জানাই জীবনের লক্ষ্য। অর্থাৎ নিজেকে ব্রহ্মের সঙ্গে এক ও অভিন্ন বলে জানতে হবে।