প্রাণ প্রজাপতিরূপে ছোট-বড়, ভিতর-বার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।
তেজো হ বা উদানস্তস্মাদুপশান্ততেজাঃ। পুনর্ভবমিন্দ্রিয়ৈর্মনসি
সম্পদ্যমানৈঃ॥৯
অন্বয়: তেজঃ হ বৈ উদানঃ (অগ্নিই উদান); তস্মাৎ (সুতরাং); উপশান্ততেজাঃ (যার দেহের আগুন নিভে গেছে [অর্থাৎ যখন তার মৃত্যু হয়েছে]); মনসি সম্পদ্যমানৈঃ ইন্দ্রিয়ৈঃ (সমস্ত ইন্দ্রিয় তার মনে সংহত হয়); পুনর্ভবম্ [প্রতিপদ্যতে] (পুনর্জন্ম হয়)।
সরলার্থ: অগ্নিই উদান। মানুষের যখন মৃত্যু হয় তখন তার শরীর শীতল হয়ে যায়। তার সমস্ত ইন্দ্রিয় তখন মনে লীন হয় এবং সে জন্মান্তরের জন্য প্রস্তুত হয়।
ব্যাখ্যা: মৃত্যুর লক্ষণ কী? প্রথমে আমরা বাক্শক্তি হারাই। এই অবস্থায় দেখা বা শোনা হয়তো সম্ভব হয়, কিন্তু কথা বলা সম্ভব হয় না। তারপরে একে একে সব ইন্দ্রিয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যায়, যদিও শেষপর্যন্ত মন সচেতন থাকে। মনও যখন শরীর ত্যাগ করে তখন আমরা চেতনা হারাই। অবশ্য যতক্ষণ শরীরের উত্তাপ থাকে ততক্ষণ আমরা জীবিত। মৃত্যুর লক্ষণ হল শরীরে উত্তাপের অভাব।
মৃত্যুকালে আত্মা যখন দেহ ত্যাগ করে যায় তখন সে একা যায় না। মন এবং সূক্ষ্ম অবস্থায় সমস্ত ইন্দ্রিয় আত্মাকে অনুসরণ করে। সাধারণত নাসারন্ধ্র অথবা মুখগহ্বরের ভিতর দিয়ে আত্মা শরীর ত্যাগ করে। পুণ্যাত্মা ব্যক্তির ক্ষেত্রে অবশ্য ব্রহ্মরন্ধ্র অর্থাৎ মস্তকের শীর্ষদেশের ছিদ্র দিয়েও আত্মা বেরিয়ে যেতে পারে।