তস্মৈ স হোবাচাতিপ্ৰশ্নান্ পৃচ্ছসি ব্রক্ষিষ্ঠোঽসীতি
তস্মাত্তেঽহং ব্রবীমি॥২
অন্বয়: তস্মৈ সঃ হ উবাচ (তিনি তাঁকে বললেন); অতিপ্রশ্নান্ পৃচ্ছসি (তুমি দুরূহ সব প্রশ্ন করছ); ব্রহ্মিষ্ঠঃ অসি ([কিন্তু] তুমি ব্রহ্মে সমর্পিত); তস্মাৎ তে অহং ব্রবীমি (সুতরাং আমি [তোমার প্রশ্নের] উত্তর দেব)।
সরলার্থ: ঋষি পিপ্পলাদ কৌসল্যকে বললেন, ‘অত্যন্ত কঠিন বিষয়ে তুমি প্রশ্ন করছ। কিন্তু যেহেতু তুমি ব্রহ্মনিষ্ঠ, আমি তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দেব।’
ব্যাখ্যা: ছাত্র সঠিক প্রশ্ন করলে গুরু প্রসন্ন হন। তাই পিপ্পলাদ কৌসল্যকে বললেন : তুমি আমাকে ‘অতিপ্রশ্নান্’ অর্থাৎ অত্যন্ত কঠিন সব প্রশ্ন করছ। প্রাণ বিষয়টি অতি দুরূহ এবং তোমার সব প্রশ্নই প্রাণকে নিয়ে। তুমি ‘ব্রহ্মিষ্ঠ’, অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞানলাভে তোমার একান্ত নিষ্ঠা। বিষয়টি তুমি গভীরভাবে চিন্তা করেছ। আর.সেইজন্যই তুমি এইসব প্রশ্ন করছ। পিপ্পলাদ বললেন, ‘আমি সানন্দে তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দেব।’
আধ্যাত্মিক বিষয়ে অধিকাংশ মানুষের কোন উৎসাহ বা আগ্রহ নেই। তাঁরা বলেন, ‘ঈশ্বর আছে কি নেই এ বিষয়ে আমার কোন কৌতূহল নেই। এ প্রশ্ন আমার কাছে নিরর্থক।’ বস্তুত উদাসীন হওয়ার থেকে নাস্তিক হওয়া ভাল। বিষয়টি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করে যদি কেউ সিদ্ধান্ত করেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই, সেটা বরং বোঝা যায়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ঈশ্বর নিয়ে কোন ভাবনা-চিন্তাই করেন না, সেটাই পরিতাপের বিষয়। তাঁরা বিষয়টিকে সর্বতোভাবে এড়িয়ে চলেন। ফলে সত্য তাঁদের কাছে অধরাই থেকে যায়।