ইন্দ্ৰস্ত্বং প্রাণ তেজসা রুদ্ৰোঽসি পরিরক্ষিতা।
ত্বমন্তরিক্ষে চরসি সূর্যস্ত্বং জ্যোতিষাং পতিঃ॥৯
অন্বয়: প্রাণ (হে প্রাণ); ত্বম্ ইন্দ্রঃ (তুমি ইন্দ্র [দেবরাজ]); তেজসা রুদ্রঃ অসি (সংহারকারী শক্তিতে তুমিই স্বয়ং রুদ্র); পরিরক্ষিতা ([একই সঙ্গে] তুমি সকলকে রক্ষা কর); ত্বম্ অন্তরিক্ষে চরসি (তুমি অন্তরীক্ষে বিচরণ করে বেড়াও); ত্বং জ্যোতিষাং পতিঃ সূর্যঃ (তুমিই সূর্য, সমস্ত জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর প্রভু)।
সরলার্থ: হে প্রাণ, তুমিই ইন্দ্র, দেবগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দেবতা। তুমি রুদ্ররূপে সকলের সংহার কর। আবার তুমিই সকলের রক্ষক। সূর্যরূপে তুমি আকাশে বিচরণ কর এবং তুমি সমস্ত জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর প্রভু।
ব্যাখ্যা: ‘হে প্রাণ, তুমি ইন্দ্র’। শঙ্করাচার্য বলেন, ইন্দ্র পরমেশ্বর, সকলের প্রভু। শিবের আর এক নাম রুদ্র। রুদ্র নিজের তেজে, ‘তেজসা’, সবকিছু সংহার করেন। শুধু তাই নয়, তিনি রক্ষাও করেন, ‘পরিরক্ষিতা’। ‘পরি’ অর্থ সবকিছু। তিনি সবকিছু সংহারও করেন, রক্ষাও করেন। ‘অন্তরিক্ষে চরসি’—‘তুমি স্বর্গলোকে বিচরণ কর’ অর্থাৎ তুমি সর্বত্র রয়েছ। ‘তুমি সূর্য’—অন্তরীক্ষে কত গ্রহ নক্ষত্র রয়েছে, কিন্তু তুমি উজ্জ্বলতম।