অথাদিত্য উদয়ন্যৎপ্রাচীং দিশং প্রবিশতি তেন প্রাচ্যান্ প্রাণান্ রশ্মিষু
সন্নিধত্তে। যদ্দক্ষিণাং যৎ প্রতীচীং যদুদীচীং যদধো যদূর্ধ্বং যদন্তরা দিশো
যৎ সর্বং প্রকাশয়তি তেন সর্বান্ প্রাণান্ রশ্মিষু সন্নিধত্তে॥৬
অন্বয়: অথ (যেমন); আদিত্যঃ (সূর্য); উদয়ন্ (উদিত হয়ে); যৎ প্রাচীং দিশং প্রবিশতি (যেমন পূর্ব দিকে প্রবেশ করেন); তেন প্রাচ্যান্ প্রাণান্ রশ্মিষু সন্নিধত্তে (তিনি নিজ কিরণের দ্বারা পূর্ব দিকে অবস্থিত সমস্ত প্রাণীকে প্রাণ দান করেন); যৎ দক্ষিণাম্ (যেমন দক্ষিণে); যৎ প্রতীচীম্ (পশ্চিমে); যৎ উদীচীম্ (উত্তরে [ভ্রমণ করেন]); যৎ অধঃ (নীচে); যৎ ঊর্ধ্বম্ (ঊর্ধ্বে); যৎ অন্তরা দিশঃ (দিকসমূহের মধ্যভাগে); যৎ সর্বং প্ৰকাশয়তি (অন্য সকলকে আলো দেন); তেন সর্বান্ প্রাণান্ রশ্মিষু সন্নিধত্তে (নিজের আলোয় সকল প্রাণীকে আলিঙ্গন করেন)।
সরলার্থ: (ভোরবেলা) সূর্য উঠে পূর্বদিগন্তে প্রবেশ করে। তখন পূর্বদিকের সকল প্রকার প্রাণীকে সে আপন কিরণে আলিঙ্গন করে। একইভাবে দক্ষিণ, উত্তর, উপর, নীচ এবং অন্তর্বর্তী দিকসমূহ—সর্বত্র সূর্যকিরণ ছড়িয়ে পড়ে। এইভাবে সকল প্রাণীকে সূর্যই প্রকাশ করে, সঞ্জীবিত করে।
ব্যাখ্যা: সূর্যকে প্রাণের তথা সমস্ত কিছুর উৎস বলা হয়। আর প্রাণকে ধারণ করে থাকে চন্দ্র। রাত্রে আমরা সবাই ঘুমিয়ে থাকি, কোন কাজ করি না—যেন সবাই অচৈতন্য হয়ে থাকি। কিন্তু যে মুহূর্তে সূর্য উঠে দিনের সূচনা করে, আবার সর্বত্র প্রাণের স্পন্দন দেখা যায়। সবাই জেগে ওঠে, চলেফিরে বেড়ায়, কাজকর্ম শুরু করে। সূর্যই যেন তার কিরণ ছড়িয়ে সবকিছুকে চেতন করে। সূর্য সকলকে, সব প্রাণীকে আলো দেয়—পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, উপর, নীচ সর্বত্র। সূর্যালোক সর্বব্যাপী। যা কিছু আমরা দেখি সবার মধ্য দিয়েই সূর্য নিজেকে প্রকাশ করে।