তদ্ধ তদ্ধনং নাম তদ্বনমিত্যুপাসিতব্যম্। স য
এতদেবং বেদাভি হৈনং সর্বাণি ভূতানি সংবাঞ্ছন্তি॥৬
অন্বয়: তৎ হ (তিনি অবশ্যই [অর্থাৎ, সেই ব্রহ্ম অবশ্যই]); তদ্ধনম্ [তৎ+বনম্] (এই বরণীয়); নাম (নাম); ইতি উপাসিতব্যম্ (এইভাবে উপাসনা করা উচিত); সঃ যঃ এতৎ এবং বেদ (যিনি তাঁকে [ব্রহ্মকে] এইভাবে জানেন); সর্বাণি ভূতানি এনম্ অভিসংবাঞ্ছন্তি হ (সকল জীব অবশ্যই তাঁর কাছে প্রার্থনা করে [অর্থাৎ পূজা করে] [‘অভি’ শব্দটি এখানে ‘সংবাঞ্ছন্তি’র সঙ্গে যুক্ত হবে])।
সরলার্থ: সেই (ব্রহ্ম) নিঃসন্দেহে বরণীয়। (সুতরাং) বরণীয় (তদ্বনম্) বলেই তাঁর আরাধনা করা উচিত। যিনি ব্রহ্মকে এইভাবে জানেন, তিনি সকলেরই পূজ্য।
ব্যাখ্যা: ব্রহ্ম সম্বন্ধে এইটুকুই শুধু বলা যায় যে, তিনি বরণীয়। তিনি বরণীয় কারণ সবকিছুর উৎসই তিনি। তিনি বরণীয় বলেই তাঁকে বরণ করা উচিত। এছাড়া আর কোন কারণ দেখানো সম্ভব নয়। যদি কেউ ব্রহ্মকে নিজের সঙ্গে অভিন্ন, একান্ত আপনার বলে জানেন, তাহলে তিনিও সকলের আদরণীয়, সকলের পূজ্য। আমাদের মধ্যে কেউ যদি নিজের স্বরূপ জেনে থাকেন, নিজেকে ব্রহ্ম বলে জানেন, তবে আমরা সকলেই তাঁকে ভালবাসি, তাঁর পূজা করি। তিনি আমাদের আদর্শ। আমরা তাঁকেই অনুসরণ করার চেষ্টা করি।