অথেন্দ্রমব্রুবন্মঘবন্নেতদ্ বিজানীহি কিমেতদ্
যক্ষমিতি তথেতি তদভ্যদ্রবৎ তস্মাৎ
তিরোদধে॥১১
স তস্মিন্নেবাকাশে স্ত্রিয়মাজগাম বহুশোভমানামুমাং
হৈমবতীং তাং হোবাচ—কিমেতদ্ যক্ষমিতি॥১২
অন্বয়: অথ (তখন); ইন্দ্রম্ অব্রুবন্ ([দেবতারা] ইন্দ্রকে বললেন); মঘবন্ এতৎ বিজানীহি (হে মঘবা, সঠিক জেনে আসুন); এতৎ যক্ষং কিম্ ইতি (কে এই দিব্যমূর্তি); তথা ইতি (তাই হবে); তৎ অভ্যদ্রবৎ ([ইন্দ্র তাঁর কাছে গেলেন); তস্মাৎ (তাঁর সামনে থেকে [অর্থাৎ ইন্দ্রর সামনে থেকে]); তিরোদধে ([দিব্যমূর্তি] অদৃশ্য হলেন)। সঃ (তিনি); তস্মিন্ এব আকাশে (সেই আকাশে); আজগাম (এলেন, আবির্ভূত হলেন); স্ত্রিয়ং হৈমবতীং বহুশোভমানাম্ উমাম্ (সালঙ্কারা এক নারীমূর্তি, উমা হৈমবতী); তাং হ উবাচ (এবং তাঁকে বললেন); কিম্ এতৎ যক্ষম্ ইতি (ঐ দিব্যমূর্তি কে?)।
সরলার্থ: তখন দেবতারা ইন্দ্রকে বললেন, ‘হে মঘবা, এই দিব্যমূর্তির সঠিক পরিচয় জেনে আসুন।’ (ইন্দ্র বললেন:) ‘তাই হবে।’ কিন্তু ইন্দ্র কাছে যেতেই সেই দিব্যমূর্তি অদৃশ্য হলেন।
ঐ আকাশে (যেখানে দিব্যমূর্তিকে দেখা গিয়েছিল) সালঙ্কারা এক নারীমূর্তি দেখা গেল। তিনি উমা হৈমবতী। ইন্দ্র তাঁর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ওই দিব্যমূর্তির স্বরূপ কি?’
ব্যাখ্যা (Verse 12): পুরাণমতে, উমা হৈমবতী হিমালয়-কন্যা। তিনি আত্মজ্ঞানের মূর্ত প্রতীক।
কেন উপনিষদের তৃতীয় খণ্ড এইখানে সমাপ্ত।