যচ্চক্ষুষা ন পশ্যতি যেন চক্ষুংষি পশ্যতি।
তদেব ব্রহ্ম ত্বং বিদ্ধি নেদং যদিমুপাসতে॥৭
অন্বয়: যৎ (যাঁকে [অর্থাৎ ব্রহ্ম]); চক্ষুষা (চোখ দিয়ে); ন পশ্যতি (দেখা যায় না); যেন (যাঁর সাহায্যে); চক্ষুংষি (চোখদুটি); পশ্যতি (দেখে)।
সরলার্থ: তিনিই ব্রহ্ম যাঁকে চোখ দিয়ে দেখা যায় না, কিন্তু যাঁর শক্তিতে চোখ দেখতে পায়। এই ব্রহ্ম কিন্তু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য এবং সকলের উপাস্য জগৎ থেকে স্বতন্ত্র।
ব্যাখ্যা: কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার চোখ, কান এবং অন্যান্য ইন্দ্রিয়গুলিও অক্ষত থাকতে পারে, কিন্তু সেগুলি আর কাজ করতে পারে না। তার চোখ আর দেখে না, কান আর শোনে না। কেন? কারণ ইন্দ্রিয়গুলির নিজস্ব কোন শক্তি নেই। কাজ করার জন্য তাদের শক্তির প্রয়োজন। সেই শক্তিটি কি? সেটি সকল শক্তির উৎস। সেই শক্তিকেই ব্রহ্ম বা আত্মা বলা হয়েছে।