আদিত্যো হ বৈ বাহ্যঃ প্রাণ উদয়ত্যেষ হ্যেনং চাক্ষুষং
প্রাণমনুগৃহ্নানঃ। পৃথিব্যাং যা দেবতা সৈষা
পুরুষস্যাপানমবষ্টভ্যান্তরা যদাকাশঃ স সমানো বায়ুর্ব্যানঃ॥৮
অন্বয়: আদিত্যঃ হ বৈ বাহ্যঃ প্রাণঃ (সূর্য বাইরের প্রাণ); এষঃ হি (এই সূর্য); এনং চাক্ষুষং প্রাণম্ অনুগৃহ্নানঃ (চক্ষুমধ্যস্থ প্রাণকে অনুগ্রহ করে); উদয়তি (উদিত হয়); পৃথিব্যাং যা দেবতা (পৃথিবীর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা); সা এষা (সেই দেবতা); পুরুষস্য অপানম্ অবষ্টভ্য (অপান বায়ুকে দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে) [অপান অর্থাৎ যে নিঃশ্বাস আমরা ত্যাগ করি এবং যা আমাদের ভূমিতে ধরে রাখে, উপরে উঠে যেতে দেয় না]; অন্তরা যৎ আকাশঃ (দ্যুলোক এবং ভূলোকের মধ্যস্থ আকাশে যে বায়ু); সঃ সমানঃ (তাকেই বলা হয় সমান); বায়ুঃ ব্যানঃ (সাধারণ বায়ুকে বলা হয় ব্যান)।
সরলার্থ: সূর্যই বাইরের প্রাণ। চোখকে অনুগ্রহ করতেই যেন সূর্যের উদয় হয়, যাতে চোখ সব কিছু দেখতে পায়। এই প্রাণই পৃথিবীর অধিপতি দেবতা এবং তিনি তাঁর অধীনস্থ অপানকে দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। সেই কারণেই কোন বস্তু উপরেও উঠে যায় না আবার মাটিতেও পড়ে না; অপান সব কিছুকে নিজের নিজের জায়গায় ধরে রাখে। দ্যুলোক এবং ভূলোকের অন্তর্বর্তী আকাশে বায়ু রয়েছে। সেই বায়ুই সমান এবং তা প্রাণের অধীন। প্রাণের অপর এক অধীনস্থ বায়ু হল ব্যান যা শরীরের ভিতরে বাইরে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
ব্যাখ্যা: সব কিছুর ভিতরে এবং বাইরে সেই একই প্রাণ রয়েছেন, যদিও তাঁর নাম ও রূপ ভিন্ন ভিন্ন। বাইরের জগতে সূর্যই প্রাণ, আবার আমাদের শরীরের মধ্যে চোখও প্রাণ। অপানরূপে প্রাণ পৃথিবীকে এবং প্রতিটি বস্তুকে নিজের নিজের জায়গায় ধরে রাখেন; উপরে উঠে যেতে দেন না আবার নীচে পৃথিবীতেও পড়তে দেন না। আবার ব্যানরূপে প্রাণ শরীরের ভিতরে ও বাইরে সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছেন।