অহোরাত্রো বৈ প্রজাপতিস্তস্যাহরেব প্রাণো রাত্রিরেব রয়িঃ
প্রাণং বা এতে প্রস্কন্দন্তি যে দিবা রত্যা সংযুজ্যন্তে ব্রহ্মচর্যমেব
তদ্যদ্রাত্রৌ রত্যা সংযুজ্যন্তে॥১৩
অন্বয়: অহোরাত্রঃ বৈ প্রজাপতিঃ (দিন এবং রাত্রি একত্রে প্রজাপতি); তস্য অহঃ এব প্রাণঃ (দিন তাঁর প্রাণ); রাত্রিঃ এব রয়িঃ (রাত্রি তাঁর খাদ্য); যে দিবা রত্যা সংযুজ্যন্তে (যাঁরা দিনের বেলায় [অর্থাৎ কাজের সময়] ইন্দ্রিয়সুখকে প্রশ্রয় দেন); এতে প্রাণং বৈ প্রস্কন্দন্তি (জীবনকে ধ্বংস করেন); যৎ রাত্রৌ রত্যা সংযুজ্যন্তে (যাঁরা তা রাত্রিভাগে [বিশ্রামের সময়] সম্পন্ন করেন); তৎ ব্রহ্মচর্যম্ এব (তা ব্রহ্মচর্য তুল্য [তাঁরা আত্মসংযমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন])।
সরলার্থ: দিন এবং রাত্রি প্রজাপতির দুটি অংশ। দিন তাঁর প্রাণ, রাত্রি খাদ্য। যাঁরা দিনের বেলায় (কঠোর পরিশ্রমের সময়) ইন্দ্রিয়সুখকে প্রশ্রয় দেন, তাঁরা নিজের জীবনকে ধ্বংস করেন। কিন্তু যাঁরা রাত্রিবেলায় তা সম্পন্ন করেন তাঁরা আত্মসংযমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
ব্যাখ্যা: ‘অহোরাত্র’, দিন এবং রাত্রি—এ সবই প্রজাপতির ব্যক্ত রূপ। দিন যেন প্রাণ, এবং রাত্রি রয়ি বা অন্ন। অর্থাৎ বলতে চাইছেন, দিনের বেলায় পৃথিবী কর্মচঞ্চল। এই কর্মচাঞ্চল্য জীবনের লক্ষণ। কাজেই তখন ইন্দ্রিয়সুখের জন্য সময় অপচয় করা কোনভাবেই উচিত নয়। তার জন্য রাত্রিবেলাই নির্দিষ্ট রাখা উচিত। একেই বলে আত্মসংযম।